ইউটিউব নিয়ে দশটি প্রশ্ন এবং এর উত্তর

Share:

 প্রথম প্রশ্ন: ইউটিউবে মনিটাইজেশন হওয়ার শর্ত কি কি??

ইউটিউবে মনিটাইজেশন হওয়ার জন্য আপনাকে ইউটিউব এর সকল শর্ত মানতে হবে। কোন প্রকার ইউটিউব পলিসি  ভঙ্গ করলে আপনার মনিটাইজেশন নাও হতে পারে, তাই ইউটিউবিং শুরু করার আগে মনিটাইজেশন এর শর্ত গুলো জেনে নেওয়া জরুরী।

ইউটিউব মনিটাইজেশন দেওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে আপনার চ্যানেলে লাস্ট এক বছরের মধ্যে  1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে। তাহলেই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 



দ্বিতীয় প্রশ্ন: re-use কনটেন্ট কি কি? re-use কনটেন্ট ব্যাবহার করলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে? কিভাবে re-use কনটেন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারব???

re-use হচ্ছে ওই সকল কন্টেন্ট যেগুলো পূর্বে ইউটিউব এ বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো পুনরায় ব্যবহার করাই হচ্ছে re-use!

re-use কনটেন্ট ব্যবহার করলে যে ধরনের সমস্যা হতে পারে তা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করছি! 

re-use কনটেন্ট ব্যবহার করলে আপনার মনিটাইজেশন হবে না! একই ভিডিও বারবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা! যদি একই ভিডিও বারবার আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে আপনার ঐ সকল কনটেন্ট এর কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন পাবেন না! তাই re-use ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে! আপনি যদি re-use কনটেন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইব পূর্ণ করেও থাকেন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন হবে না! 

নিজের কন্টেন্ট বারবার ব্যবহার করা ছাড়াও , অন্য ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে সেটাও রিউজ হিসেবে ধরা হয়।  তাই একজন ইউটিউবার হিসেবে সফল হতে চাইলে অন্যের ভিডিও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।। 

তৃতীয় প্রশ্ন: আমার ইউটিউব চ্যানেলের ওয়াচ টাইম দিন দিন কমে যাচ্ছে কেন??

ইউটিউব চ্যানেলের ওয়াচ টাইম গণনা করা হয় লাস্ট এক বছরের গুলো তাই যখনই একবছর পূর্ণ হয়ে যায় তখন থেকেই এক বছর আগের ওয়াচ টাইম গুলো আর গণনা করা হয় না । এ কারণেই অনেকের কাছ থেকে প্রায়ই একথা শুনে থাকি তাদের ওয়াচ টাইম দিনে দিনে কমে যাচ্ছে,  এরকম হলে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে তাহলেই আপনার চ্যানেলের পূণরায় ওয়াচটাইম পূর্ণ হয়ে যাব।। 


চতুর্থ প্রশ্নঃ ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করলে কত দিনের মধ্যে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়? 

মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করার পর সর্বোচ্চ 48 ঘণ্টার মধ্যে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় তবে এর বেশি বা কম হতেও পারে। আমার দেখা প্রায় সকলেরই একদিনের মধ্যে মনিটাইজেশন অন হয়েছে। 


পঞম প্রশ্নঃ re-use হলে করণীয় কি?

মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করার পর যদি আপনার re-use আসে, তাহলে আপনার কাছে যে সকল ভিডিও মনে হবে যে এর কারণে re-use আসতে পারে বা এসেছে ওই সকল ভিডিও গুলো ডিলিট করে দিতে হবে ( তবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার যে সকল ভিডিও গুলো একাধিকবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছেন সেগুলো ডিলিট করে দিবেন এবং অন্য কোন ইউটিউব চ্যানেল থেকে যে ভিডিও গুলো ডাউনলোড করে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছিলেন সে সকল ভিডিও গুলো ডিলিট করে দিবেন কারণ এসকল ভিডিওগুলোর কারণেই মূলত re-use আসে) এবং ঐসকল ভিডিওগুলো ডিলিট করার পর আবার যখনই আপনার 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম 1000 সাবস্ক্রাইব পূর্ণ হবে তখনই আপনি পুনরায় মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৬ষ্ঠ প্রশ্নঃ ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম আসলে কি কোন প্রকার সমস্যা হবে? 

ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে যদি কপিরাইট ক্লেইম আসে তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন সমস্যা হবে না তবে কপিরাইট ক্লেইম আসা ভিডিও গুলোতে মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন না যার ফলে আপনার ইনকাম হবে না।। 

৭ম প্রশ্নঃ কপিরাইট ক্লেইম থেকে বাঁচার উপায়!

কপিরাইট ক্লেইম হয় কপিরাইটওয়ালা মিউজিক ব্যবহার করার কারণে, কপিরাইট ক্লেইম হয়। এই কপিরাইট ক্লেইম থেকে বাঁচতে আপনাকে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার করতে হবে, ভিডিও তৈরি করার আগে আপনাকে কপিরাইট ফ্রি একটি মিউজিক বেছে নিতে হবে তাহলে আর আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম হবে না।

৮ম প্রশ্নঃ কিভাবে বুঝব যে কোন মিউজিক বা গানে কপিরাইট আছে নাকি নাই?? 

একটি মিউজিক এ বা গানে কপিরাইট আছে নাকি নেই তা দেখার জন্য আপনি প্রথমে সেই মিউজিকটিকে আপনার ডেক্সটপে অথবা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব স্টুডিও তে গিয়ে সেখানে আপলোড করে দিবেন, আপলোড করার এক পর্যায়ে আপনি দেখতে পারবেন যে এই মিউজিক বা গানটিতে কপিরাইট ক্লেইম আসে নাকি, আসে না। যদি কপিরাইট ক্লেইম আসে তাহলে আর আপনি সেই মিউজিকটি ব্যবহার করবেন না। যদি কপিরাইট ক্লেইম আসে তাহলে এভাবে আপনি অন্য আরেকটি মিউজিক আপলোড করে দেখবেন যে ,সেই মিউজিক বা গানটিতে কপিরাইট ক্লেইম আসে কিনা! যদি না আসে তাহলে সেটি ব্যবহার করবেন এভাবে আপনি কপিরাইট ক্লেইম এর হাত থেকে বাঁচতে পারবেন খুব সহজে।


৯ম প্রশ্নঃ কপিরাইট স্ট্রাইক কি?

কপিরাইট নিয়ে কিছু নিয়মকানুন আছে এবং আইন আছে ঐ সকল আইনগুলো ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করাকে কপিরাইট স্ট্রাইক বলা হয়। 

সাধারণত তিনটি কপিরাইট স্ট্রাইক হলে আপনার চ্যানেল বাতিল হয়ে যেতে পারে, তাই কপিরাইট স্ট্রাইক এর হাত থেকে বাঁচতে কপিরাইট এর সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে







No comments

Featured post

কিভাবে NID কার্ড বের করা যায়?

NID কার্ড বের করবেন কিভাবে! NID (National identity card)  বের করার জন্য আপনার মোবাইলে / ডেস্কটপে অবশ্যই Chrome বা Mozila firefox যেকোনো একট...